দিরিলিস বাংলা ডেস্কঃ দিরিলিস আরতুগ্রুল এখন বিশ্বকাপানো এক সিরিজের নাম। সিরিটা তৈরি করা হয়েছে তুরষ্ক থেকে কিন্তু এটি এখন ভ্রমণ করছে সারা বিশ্বে। সিরিজটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে কায়ী নামে একটি গোষ্ঠী থেকে উঠে আসা আরতুগ্রুল গাজী নামক চরিত্রকে। যে আরতুগ্রুল অটোমান তথা উসমানীয় সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমান গাজীর পিতা। এর পাশাপাশি এই সিরিজে উসমানিয় সামাজ্য, চেঙ্গিস খান যুদ্ধ, নাইট ও সেলজুগ সামাজ্য ও যুদ্ধের ইতিহাস দেখানো হয়।
এই সিরিজটি বর্তমান সারা বিশ্ব কাপিয়ে তুলেছে। বাংলাদেশও তার ব্যাতিক্রম নয়। বাংলাদেশে আরো অনেক আগে থেকেই এটি বেশ জনপ্রিয়। বর্তমানের পাকিস্তান, ইয়ামেন, কাশ্মির সহ অনেকের মাঝেই এটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে নিয়েছে৷ বাংলাদেশে এর অনেক আবেগীয় দর্শক রয়েছে যারা এই সিরিজকে ভালোবেসে এই সিরিজে ব্যাবহত বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী তৈরি করছে এবং ব্যাবহার করছে। এই সিরিজের কায়ী বসতি দের মাঝে যে উপকরণ গুলো দৃশ্যমান যেমনঃ টুপি, টিশার্ট, আংটি সহ নানা ধরণের জিনিস।
বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রীর পাশাপাশি অনেকে বিভিন্ন যায়াগায় মিলনমেলা করেছে। কিন্তু এবার দেখা গিলো ব্যাতিক্রম ধর্মী আরেক আয়োজন। এমন এক ঘটনাই আজ উল্লেখ করছি। এখানে যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো বাংলাদেশেরই এক চিত্র। গত রমজানের ঈদে চট্রগ্রাম আনোয়ারা থানায় অবস্থিত প্রায় ৩০০ বছরের মসজিদ ঐতিহ্যবাহী বখতিয়ার পাড়া
শাহী আকবরী জামে মসজিদের কপাট ও ভিতরের দারণ করা দৃশ্য। মসজিদটি চরপীর আউলিয়ার মাজারের পাশে অবস্থিত। ঈদের নামাজ শেষে এক দল তরুণ যুবক দিরিলিসের ভালোবাসায় বিরর্কধর্মী এক ঈদ উদযাপন করেছে।
ইরফান নবী নামে এক বাংলাদেশী দিরিলিসিয়ান ছবিগুলো দিয়ে বলেন, হায়দার শরীফ নামের এক দিরিলিস প্রেমিকের উদ্যোগে ঈদের আগেরদিন রাতেই এটি শেলাই করেছি। অন্য দেশের নিশান নিয়ে এমন ঈদ উদযাপন করার বিষয়ে জানতে চাওয়ার পরে শাকিব আহমেদ নামে একজন বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এলাকার সবাইকে দিরিলিসের নেশা লাগিয়ে দেওয়া তবে এখানে কায়ী পতাকাটি দৃশ্যায়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকা রাখাও জরুরি ছিল।