কাশ্মীরিরা স্বাধীনতার স্বস্তি খোজে নিয়েছে দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজে (Kashmiris of Diriliş Ertuğrul)

ঐতিহাসিক তুর্কি ড্রামা সিরিজ দিরিলিস আরতুগ্রুল জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এর ভক্তদের কাছে তুর্কি গেম অফ থ্রোনস হিসাবে পরিচিত। এটি ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে এক সংবেদনশীল চৈতন্য তৈরি হওয়ায় সেখানে এটিকে ভারতের স্থানীয় ইন্টারনেটে সার্ভারে  নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।



দ্যা প্রিন্ট ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “দিরিলিস আরতুগ্রুল, যার অর্থ 'আরতুগ্রুলের পুনরুত্থান' তুরষ্ক, পাকিস্তান ও ইরানের এই সিরিজগুলাতে ইতিহাসের এক রাজপরিবার থেকে অন্য রাজপরিবার উত্থানের পরিভ্রমণ  চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই ভারত সরকার তাদের স্থানীয় ইন্টারনেট কেবল অপারেটর গুলোর মাধ্যমে এ সকল মুসলিম দেশগুলোতে তৈরি হওয়ার তাদের এসব সামগ্রী তাদের দেশে থামানোর চেষ্টা করছে।

এখানে আরো বলা হয়েছে এই সিরিজগুলোর ভক্তরা শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য উপভোগ করেন না বরং বলে যে এটি তাদের ইসলামিক ইতিহাসকে "পুনরায় আবিষ্কার" করতে সহায়তা করেছে।

লকডাউনের আগে এই সিরিজটি শুধু কাশ্মিরের অনিয়ন্ত্রিত এলাকায় জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে পুরো কাশ্নীরে এটার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়েছে। সেখানের অরক্ষিত এলাকায় ইতিমধ্যে এই সিরিজের ক্রিয়ালাপ পারিবারিক  ক্রিয়াকলাপে পরিণত হয়েছে।

কাশ্মীরিদের মতে, আগষ্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে ইন্টারনেট বন্ধ এবং নাগরিক চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা ফলে এই সিরিজটি আরো জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেতে অবদান রেখেছে। কাশ্নিরের প্রতিটি কোণ, কোচিং সেন্টার এমনকি মসজিদগুলিতে এটা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়াকলাপে পরিণত হচ্ছে।

দেশে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা ও নাগরিক চলাচলের নিসেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা কীভাবে এই সিরিজের এক্সেস পেয়েছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে কাশ্মিরিরা। তারা ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার আগে অনেক লোক সিরিজটি ডাউনলোড করে রেখেছিল। আবার কেউ কেউ কাশ্মিরের বাইরে ভ্রমণে গিয়েছিল। এরপরে সিরিজটি সংগ্রহ করে বিভিন্ন পরিবারে এটি ছড়িয়ে দিয়ছিল।

ত্রয়োদশ শতাব্দীর আনাতোলিয়া স্থাপন করা সহ, অটোমান শাসনামলের পূর্বের সময় অর্থাৎ আরতুগ্রুলের পুরুত্থানকে কেন্দ্র করে এটি তৈরি করা। অটোমান বা উসমানীয় সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম উসমানের পিতা আরতুগ্রুল গাজীর সংগ্রামী চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এর মোট পাঁচটি মৌসুম বা সিজন রয়েছে, এর সবকটিতেই ২৫ টিরও বেশি এপিসোড বা পর্ব রয়েছে।প্রতিটি প্রায় দুই ঘন্টা দীর্ঘ।

এর আগে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পিটিভি-কে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারের জন্য অনুরোধ করেছিলেন এবং সমস্ত পাকিস্তানিকে এটি দেখার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। কারণ এটি "সত্যিকারের ইসলামিক মূল্যবোধকে প্রচার করে।" এরপরে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ অনুসরণ করে, পিটিভি নাটকটির প্রচারের রাইট অনুমোদন নিয়েছে। 

  • নিউজটি পাকিস্তানের দ্যা কারেন্ট.পত্রিকার নিউজ থেকে অনুবাদ করেছেন মুহাম্মদ খলিলুর কাদেরী
  • নিউজটি সকলে শেয়ার করুন।

কাশ্মীরিরা কিভাবে তুর্কি সিরিজ দিরিলিস দেখার জন্য ইন্টারনেট শাটডাউন চালাচ্ছিল সেই নিউজ দেয়া হবে আগামীকাল। আমাদের সাইটের সকল নিউজ নোটিফিকশের মাধ্যমে পেতে আপনার ইমেইল দিয়ে সাভস্ক্রাইভ করে রাখুন