আজকের ইসলাম ও ইসলামের সোনালী অতীত

দিরিলিস বাংলাঃ #আমি_বলে_দিচ্ছি_ওমর খৈয়াম, ইবনে সিনা, আবু রায়হান আল-বেরুনি, আল বাত্তানী, মুহাম্মাদ ইবনে মুসা আল-খারেজমি, ইব্রাহিম আল ফাজারী, মুহাম্মদ ইবনে সিরিন, সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি, সুলতান রুকন আল-দীন বাইবার্স, সুলতান বারকে খান, সুলতান নূরুদ্দীন জাঙ্কি, বীর তারিক বিন জিয়াদ, সুলতান তৈমুর বিন তারাগাই, হাজ্জাজ বিন ইউসুফ, মুহাম্মদ বিন কাসিম, সুলতান মাহমুদ গজনবী, মুহাম্মদ ঘুরী, বাদশা হারুনূর রশিদ, সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহ, আরতুগ্রুল গাজী, উসমান গাজী, ওরহান গাজী|


সুলতান মুরাদ, সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ, সুলতান সুলাইমান, কুতুবউদ্দীন আইবক, সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ, সুলতান ফিরোজ শাহ তুগলক, বাদশা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, সুলতান ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজির, সুলতান গিয়াসউদ্দীন আজম শাহ, সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ, সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ, ঈশা খাঁ, বাদশা আওরঙ্গজেব, নবাব সিরাজউদ্দৌলার, বীর সৈয়দ মীর নিসার আলী তিতুমীর, মজনু শাহ, হাজী শরীয়তুল্লাহ রহিঃ,মৌলভী আমির উদ্দীন বসুনিয়া রহিঃ মত বাদশা, সুলতান, জ্ঞানী, বিজ্ঞানী, গবেষক, ডাক্তার, অর্থনীতিবিদ এবং বীর মুজাহিদগনের শক্তিশালী চিন্তা ভাবনার মানুষ তৈরি হওয়ার সম্ভবনা পথ ৯৯.৯৯% রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
#আজকে_যাদের_নাম_বলেছি_অনেকে হয়তো তাদের সারাজীবনের পাঠ্যপুস্তক, বড় বড় ডিগ্রি নিয়েও এদের সম্পর্কে অজানা। অথচ এদের বেশীর ভাগেই হলিউড, বলিউডের নায়ক, নায়িকা, গায়ক, গায়িকাদের বাপ, দাদাদের নাম এমনকি পাশ্চাত্য মানে পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রিয়া জগৎতের খেলোয়ার এবং রাষ্ট্রপতি, বিজ্ঞানীদের নাম মুখস্থ, ঠোটস্থ এমনকি তাদের অন্তরের মাঝে তাদের চিন্তাচেতনা বাস করে।
#আসুন_দেখি_কেন_জগৎ_বিখ্যাৎ আলেম, দার্শিনিকগনের তৈরি হওয়া রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
মূলত ইউরোপিয় উপনিবেশবাদ দেশগুলোতে শিল্পবিপ্লব হওয়ার পর পর বিশ্বের মাঝে ছড়িয়ে পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্রবাদ নীতি। আর এসব নীতিগুলো এক শ্রেণীর মানুষকে করেছে সম্পদশালী অন্যদিকে সমাজের বিশাল সংখ্যাক মানুষকে বানিয়েছিল গিনিপিগ। অর্থাৎ শাসক শ্রেণীর লোকেরা হয়েছে রাষ্ট্রের সকল সম্পদের মালিক আর শোষিত মানুষরা হয়েছে শ্রমিক শ্রেণীর লোক। এ শ্রমিক শ্রেণীর লোকজন সব সময়ে খেটে যাবে মালিকদের জন্য। এদের নাম মাত্র স্বাধীনতা থাকবে। বাকস্বাধীনতা এবং মৌলিক চাহিদা থাকবে শাষকদের হাতে।
#শিল্পবিপ্লবের_পরবর্তী_সময়ে_ইউরোপ, আমেরিকাতে তৈরি হয়েছে বড় বড় জায়ান্ট ক্লাসের কোম্পানীর হাতিয়ার অর্থাৎ গুটিকয়েক মানুষের হাতে থাকবে রাষ্ট্র পরিচালনা, অর্থনীতি, শিল্প কলকারখানার নিয়ন্ত্রন। এরাই মূলত বিশ্বব্যাপি নিজেদের প্রভাব ধরে রেখেছে। তারা এক জায়গাতে বসে সকল কিছু নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। যেমন ধরুন ব্যাংকিং সিস্টেমকে ধরে রেখেছে সুইফট। আপনি যে দেশের নাগরিক হোন কিংবা ব্যাংকি কারবার করতে চান তাহলে আপনাকে সুইফটের কাছে মাথা নত করে ব্যবসা করতে হবে। আবার ধরুন আপনি কম্পিউটারের কাজ করবেন তাহলে আপনাকে বিল গেটস এর তৈরি কৃত মাইক্রো সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেই হবে। আবার আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে সারা পৃথিবী জুড়ে যোগাযোগ রাখতে চান তাহলে আপনাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইএসপি এর কাছে আপনি জিম্মি।তবে সবচেয়ে ভয়াবাহ নিউজ হলো ৮টি পরিবারের হাতে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষের সম্পদ আবদ্ধ।
#আরএই_বিশাল_সংখ্যক_মানুষদের_নিয়ন্ত্রন করার জন্য সৃৃষ্টি হয়েছে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকি, গেমিং জাতীয় ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এই পাশ্চাত্যের কৌশল এতটাই তীহ্ম আপনি, আমি এখন সবাই হিরো হতে চাই। কেউ ফেসবুক সেলিব্রেটি, কেউ দ্রুত রাতারাতি ভাইরাল হয়ে ফেমাস, কেউ আবার লাইকি / টিকটক স্টার, কেউ ইউটিউব সেলিব্রেটি হতে চায়। এই হিরোইজমের নেশা এখন ছোট, বড় সবাইর রক্ত, মগজে ঢুকে গিয়েছে। এগুলোর নেগেটিভ সাইডগুলো মুসলিম দেশগুলোর মধ্যেই এখন সবচেয়ে বেশী। এতে করে মুসলিম দেশে গুলোর তুরণ, তরুণী, জোয়ান, বুড়া, ছোট সবাই ধীরে ধীরে এগুলোর সহজ শিকার হচ্ছে। এতে মুসলিমরা প্রচুর সময় নষ্ট করছে। যার ফলে মুসলিমদের মাঝে এখন জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব, বিজ্ঞানী, গবেষক, দার্শনিক, ডাক্তার, অর্থনীতিবিদ এবং বীর মুজাহিদ হওয়ার শক্তিশালী চিন্তা ভাবনা অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।
#এখন_মুসলিম_দেশগুলোতে_অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খোঁজ নিলেও একজন জগৎ বিখ্যাত আলেম, গবেষক, ইঞ্জিনিয়ার এমনকি ইন্টারনেট, ইমেইল, ফেসবুক, ইউটিউব এবং সুইফট এর বিকল্প অপশন পাওয়া যাবে না। কারন এখন সবাই অন্যের আবিস্কারে গা ভাসিয়ে নিজেদের কপি নিজেদের অবস্থান ধরে রাখছে নয়তো পশ্ছিমা সিস্টেমে পড়ে জিম্মি হয় গোলামে পরিনত হয়েছে। তাদের এই সিস্টেমে যতই বড় সেলিব্রেটি, ফেমাস হোক কেন এতে করে পশ্চিমাদের কিছু আসে যায় না।
তারা চায় মানুষ তাদের ফাঁদে পড়ে আরো হিরো হোক বেশী বেশী করে হিরোইজমের নেশা তাদের মাথা মদের নেশার মত বুদ হয়ে থাকুক। এই পশ্ছিমারা কখনো চাইবে না মুসলিমরা তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে গবেষণা করুক, জ্ঞান চর্চা করুক। যখন কেউ মুসলিম সংস্কৃতি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবে, তখন সে মুসলিমরা পশ্ছিমাদের চরম শত্রুতে পরিনত হবে। তারা চাইবে যেভাবে হোক ঐ মুসলিমদের স-ন্ত্রাসী-বাদী নাম দিয়ে ধ্বংস করে দিতে। কারন পশ্ছিমারা ভালো করে জানে একজন বীর সালাউদ্দিন, কিংবা তারিক বিন জিয়াদ কি জিনিস। এমন জিনিস দ্বিতীয়বার ফয়দা হলো তাদের ইলুমিনাতি সিস্টেম ধ্বংস হয়ে যাবে।
#মূল_কথা_হলো_বর্তমান_মুসলিমরা_দুনিয়ার জীবনকে বেশী উপভোগ করার নেশা মাথা ঢুকে গেছে আর এই নেশা আরো বেশী উপভোগ করার জন্য পশ্ছিমা ইলুমিনাতি চক্র আরো বেশী করে বস্তুবাদী জিনিস নিয়ে আসছে। এতে মুসলিমদের জ্ঞান চর্চা, সম্পদ সব কিছুর তথ্য পশ্ছিমাদের হাতে চলে যাচ্ছে।
তাই সবাইকে বলবো আপনারা নিজেদের পবিত্র কোরআন এবং সহীহ হাদীসের আলোকে জীবন গড়ুন মুসলিম ঐহিত্য ফিরিয়ে আনার জন্য জ্ঞানচর্চা করুন আর সেটা ভবিষৎ প্রজম্মের মাঝে ছড়িয়ে দিন। এমন চলতে থাকলে একদিন ঠিকই আবারও মুসলিম বিশ্বের সোনালী অধ্যায়ের বীর মুজাহিদ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ। (Sultan Mahmud Ghaznavi)